তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৭ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে চিহ্নিত ভবনগুলো ব্যবহার উপযোগী করতে জরুরি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে।
এছাড়া সারা দেশের এ স্তরের শিক্ষাঙ্গনগুলো নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোজাম্মেল হক ও মো. মাজেদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রুলে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল-মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিরাপদ বা ঝুঁকিহীন করতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই স্তরের শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নিরাপদ ও শিক্ষাবন্ধব করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি বরগুনার তালতলীর ছোটবগি পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিম ধসে পড়ে মানসুরা (৮) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনায় আহত হয় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ওই ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন।
আদেশের পর হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্কুল-মাদ্রাসার ভবন নিয়ে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন, খবর প্রকাশ হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর অধিকাংশই ঝঁকিপূর্ণ। শুধু তাই না, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
ইএস/এমএ