মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান আসামিদের উপস্থিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা এলাকার হামেদ মোড়লের ছেলে নুরুল হক মোড়ল (৩৫), সিদ্দিক মোড়লের ছেলে চুন্নু মোড়ল (৫০), চুন্নু মোড়লের স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৪৫) ও মৃত জমির চৌকিদারের ছেলে সেলিম চৌকিদার (৩৭)।
ধর্ষণজনিত হত্যার শিকার রিমা আক্তার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়নের আহাম্মেদ চৌকিদার কান্দি গ্রামের ইলিয়াস চৌকিদারের মেয়ে।
ট্রাইব্যুনালের সরকারী কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটা থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় কিশোরী রিমার মরদেহ উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশ। এর দুই দিন আগে প্রতিবেশী এক মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়ে রিমা নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় রিমার বাবা ইলিয়াস চৌকিদার বাদী হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ২৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।
পরে ১৮ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আসামি স্বপ্নার সহযোগীতায় অপর তিন আসামি কিশোরী রিমিকে গণধর্ষণের পর নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে তারা মরদেহ একটি পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে পাটখড়ি দিয়ে ঢেকে রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
জিপি