সোমবার (১৩ মে) রাতে মোবাইলে এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলামের সঙ্গে।
আলাপে তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগামীকাল (মঙ্গলবার, ১৪ মে) আদালতে হাজিরার তারিখ রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলেই খালেদা জিয়াকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ নেওয়া হবে। ওখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলার মাহবুবুল ইসলাম জানান, যেদিনই আমরা হাসপাতাল থেকে ওনার (খালেদা জিয়ার) ছাড়পত্র পাবো, সেদিন ওনাকে কারাগারে নিয়ে আসা হবে। কারাগারের ভেতরেই আদালত বসিয়ে তার বিচার কার্যকর করার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে সরকার।
এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিষয়ে আদালতের জায়গা স্থানান্তরের বিষয়ে রোববার (১২ মে) আইন মন্ত্রণালয় পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মামলার বিচার কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের বকশিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং মামলার বিচাররিক কার্যক্রম ওই ভবনের অস্থায়ী আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১৭টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন। এর আগে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়া বন্দি ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস