সোমবার (২০ মে) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র কেমিক্যাল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ৯ এপ্রিল আদালত দু’টি আদেশ দিয়েছিলেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আম বাগানগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ নিয়োগ করা, যাতে তারা বেআইনিভাবে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে, আম পাকানোর জন্য। আরেকটি নির্দেশ দিয়েছিলেন চারজন বিবাদীকে যে, ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে তদারকি টিম গঠন করতে পর্যবেক্ষণ করা। যাতে কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফল রক্ষণাবেক্ষণ বা ফল পাকাতে না পারে।
এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তারা কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ আদালতের দৃষ্টিতে এনেছি যে, এটি যদি না করা হয় তাহলে দেখা গেলো রাজশাহীর আম বাগানে কেমিক্যাল ব্যবহার করলো না, কিন্তু ঢাকা বা ফলের বাজার-আড়তে এনে যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করে তাহলে সুফল পাওয়া যাবে না। সে পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অবেদন জানালাম আদেশটি যেন কার্যকরী হয়।
আজ থেকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে ফলের বাজার ও ফলের আড়ৎ তদারকি টিম গঠন করে মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ আম বা ফল পাকাতে বা সংরক্ষণ করতে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে। যদি কেউ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আদালত আগামী ১৮ জুন এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
গত ৯ এপ্রিল রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানে কেমিক্যালের ব্যবহাররোধে সাতদিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদেশে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ফলের বাজার ও গুদামে মনিটর করবে যাতে সারাদেশে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার করে আম পাকাতে না পারে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
আবেদনের বিবাদীরা হচ্ছেন- শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান।
ওইদিন মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আমবাগানের বিষয়ে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। কিন্তু হঠাৎ করে আমরা দেখছি গতবছরের কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রবণতা। এ কারণে আবেদন করেছি নির্দেশনাটা ফের দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
ইএস/জেডএস