সোমবার (২০ মে) দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা হয়।
গত ১৬ মে দেয়া সুপ্রিমকোর্টের বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি নিশ্চয়ই এ ব্যাপার নিয়ে কথা বলেছি। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, যে আলাপচারিতা হচ্ছে এবং কিছুটা যদিও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে ব্যাপারটায়, তাদের বিবেচনায় আছে। আমার মনে হয় অতি সম্প্রতি (শিগগিরই) আপনারা এটার ব্যাপারে ব্যাখ্যা পাবেন।
কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো সমস্যা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী। তার কাছে কোনো না কোনো নালিশ পাঠানো যেতে পারে এবং তার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। তাছাড়া সংবিধানের মধ্য থেকেই তিনি বিবেচনা করতে পারেন। সেটা তার বিবেচ্য বিষয়। ষোড়শ সংশোধনীর ব্যাপারে যে শূন্যতা, সে শূন্যতার কারণেই কোনো কিছুই মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী। তার কাছে পাঠানো যাবে না, এটা ঠিক না।
১৬ মে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত ‘বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন হতে বিরত থাকা প্রসঙ্গে’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোনো কোনো প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমতাবস্থায়, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ’
এ বিজ্ঞপ্তি জারির পর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তা প্রত্যাহারে অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
ইএস/এএ