মঙ্গলবার (২১ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
গত ২৫ এপ্রিল বিইউপি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে যে চারজনকে আসামি করা হয়েছিল, তারা হলেন- সুপ্রভাত পরিবহনের কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত, বাস মালিক গোপাল সরকার, সুপ্রভাত পরিবহন রুটের সভাপতি আলাউদ্দিন ও রুটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ উদ্দিন।
কিন্তু বাদীপক্ষ অভিযোগপত্রটির বিরুদ্ধে না রাজি দিলে মামলাটি পুনরায় ডিবিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৯ মার্চ রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী গুলশান থানায় ২৭৯/৩৩৮-ক/৩০৪ ও ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১৯ মার্চ রাজধানীর প্রগতি স্মরণীর নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন আবরার। এর প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৯ মার্চ বিইউপি’র শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দেওয়ার সময় বাসটি চালাচ্ছিলেন কন্ডাক্টর ইয়াছিন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বাসটির মূল চালক গুলশানের শাহজাদপুরে কলেজছাত্রী সিনথিয়া সুলতানাকে চাপা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় অপর মামলায় বাসচালক সিরাজুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে চালক সিরাজুল সাতদিন রিমান্ড শেষে গত ২৭ মার্চ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিকে, আবরার নিহত হওয়ার ঘটনায় ২ এপ্রিল কন্ডাক্টর ইয়াছিন ও হেলপার ইব্রাহিম হোসেনও ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা দু’জনই কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এমএআর/টিএ