বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২২ মে) এ আদেশ দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর রাঙাবালীতে ধর্ষণের পর সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত করেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড। ওই মামলার আসামি দানেশ চৌকিদার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তার জামিন আবেদনের শুনানির সময় দেখা যায় মেডিকেল সার্টিফিকেটে কন্ট্রাডিকটরি (বিপরীতধর্মী) তথ্য রয়েছে।
এ কারণে গত ৭ মে হাইকোর্ট ব্যাখ্যা দিতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে ২২ মে তলব করেন।
এ তলবাদেশ অনুসারে বুধবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন নিশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট দানেশ চৌকিদারের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তুষার বণিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
পরে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ওই ঘটনার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বর্ণনায় চারটি ইনজুরির কথা উল্লেখ আছে। অথচ মন্তব্য অংশে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হয়েছে, তবে যা দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের কন্ট্রাডিকটরি তথ্য থাকায় পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ ময়না তদন্তকারী চিকিৎসা বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আসামির জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
ইএস/জেডএস