মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদার হোসেন নতুন শুনানির এ দিন নির্ধারণ করেন।
গত ২৬ মে (রোববার) কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ২০০৬ (সংশোধনী) এর ৫৭(২) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রানস ন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী সরকার।
অভিযোগপত্রে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদে ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রের ভাবমুর্তিক্ষুণ্ন করে এবং জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ২০০৬ (সংশোধনী) এর ৫৭(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
গত ১৭ এপ্রিল কাজী নওশাবা আহমেদের আইনজীবী ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৫ ধারায় নওশাবার অনুপস্থিতিতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তাই কাজী নওশাবা আহমেদে মঙ্গলবার (২৮ মে) আদালতে হাজির ছিলেন না।
গত ১৫ জানুয়ারি নওশাবার উপস্থিতিতে আইনজীবী ইমরুল কাওসার স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে তার স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ফেসবুক লাইভে আসেন নওশাবা। ওই সময় তিনি বলেন, ‘জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। ’
তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পরে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ওইদিন রাতেই উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত বছর ৫ আগস্ট র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারপর তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে ওই বছরের ৫ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হক তাকে চারদিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন। প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট আবারও নওশাবাকে দুইদিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন একই অদালত।
এরপর ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবা সিএমএম আদালতে জামিনে মুক্তি পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এমএআর/এমএ