মঙ্গলবার (২৮ মে) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আফালকাঠি গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা দক্ষিণ আফালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজিব মোল্লা তার নানা বাড়ি থেকে নগদ ২ হাজার ৭শ’ টাকা, পিঠা ও আমড়া নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথে রাজিব মোল্লাকে হত্যা করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও খাবার নিয়ে যায় রাজিব হাওলাদার।
পরে তার মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে পূর্ব আফালকাঠি কানাই সিকদারের বাড়ির সামনের ডোবার মধ্যে ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু পরের দিন মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজিব মোল্লার বাবা নজরুল মোল্লা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় রাজিব হাওলাদার ও ইমরান হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসএই) কায়কোবাদ এজাহারনামীয় আসামি রাজিব হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে এবং ইমরানকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেন। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিচারক এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এমএস/আরবি/