মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে শুনানির জন্য তাকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (প্রথম) হাজির করা হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সজল এ কথা জানন।
তিনি বলেন, কোনো দোষ করিনি। আমি আসামি না। তারপরেও আমি কয়েদি হয়ে কারাগারে আছি।
সজলের এ দাবি ঠিক কিনা তার শুনানির জন্য মঙ্গলবার তাকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (প্রথম) হাজির করা হয়। কিন্তু আদালত না বসায় তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। তবে সজলের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বিচারক বুধবারই (১২ জুন) শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দিতে বলেছেন আদালতের পেসকারকে। সে অনুযায়ী, বুধবার সজলকে আবার কারাগার থেকে আদালতে আনা হবে। তবে আদালতের পক্ষ থেকে শুনানির দিনে পুলিশকে তলব করা হয়নি।
আদালতের কাঠগড়া থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে নিজেকে আবারও ‘সজল’ দাবি করেন তিনি। তার বক্তব্য, বাদীপক্ষের প্ররোচণায় পুলিশ বড় ভাই ফজলের বদলে তাকে ধরেছে।
ভুক্তভোগী সজল মিয়ার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম তোফাজ উদ্দিন। সজলের বড় ভাইয়ের নাম সেলিম ওরফে ফজল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফজল দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক।
ফজলের অনুপস্থিতিতেই ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট মামলার রায় হয়। সেদিন অন্য চার আসামি খালাস পান। দীর্ঘ ১০ বছর পর গত ৩০ এপ্রিল সজলকে গ্রেফতার করে মহানগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ। ‘সেদিন তাকে ফজল’ হিসেবেই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গত ২৬ মে সজল তার আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, আসামি বড় ভাইয়ের পরিবর্তে তিনি জেল খাটছেন। এর শুনানির দিন ধার্য ছিলো মঙ্গলবার।
জানতে চাইলে মহানগরীর শাহনমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, তারাও চান না যেকোনো নির্দোষ ব্যক্তি সাজা খাটুক। কিন্তু গ্রেফতার আসামি যে ফজল সে ব্যাপারে মামলার সাক্ষীরা এফিডেফিট করে দিয়েছেন। সেটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে আদালতের শুনানিতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে যে আসল আসামি আসলে কে?
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এসএস/এএটি