দুইদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করে ফের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান দুইজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই দুজন হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল রনি মোল্লা (২১) ও শরিফুল ইসলাম (২৩)।
এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পাঁচ পুলিশ সদস্যের তিনজনের তিনদিন ও দুইজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়া।
এর মধ্যে তিনদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছিল গুলশান থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ আহমেদ মিয়াজি (৪৪), এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল (২৩) ও নায়েক জাহাঙ্গীর আলম।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে এপিবিএনের এই চার সদস্য এবং গুলশান থানার এক এএসআইকে গ্রেফতার করা হয়। পৃথক অভিযানে তাদের আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা ও এপিবিএন। অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা ও মামলার বাদী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর এসআই মো. জাফর বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজিসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর চার কনস্টেবল গুলশান ১-এর গুদারাঘাট চেকপোস্টে দায়িত্বে ছিলেন। ওইদিন তারা একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করেন। তাকে তল্লাশি করে ৫২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। কিন্তু তারা এই মাদক সংশ্লিষ্ট থানায় জমা না দিয়ে নিজেরা নিয়ে যান। আর মোটরসাইকেল আরোহীকে ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তরায় এপিবিএন’র ব্যারাকের বাথরুমে প্রশান্তসহ আরেকজন কনস্টেবল ইয়াবা বিক্রির জন্য প্যাকেট করছিলেন। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে থানায় ফোন দিই। পুলিশ এসে তাদের ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন এসআই জাফর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
টিএ