শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানো তিনজন হলেন- গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজি (৪৪), এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল (২৩) ও নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে শনিবার দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে এই মামলার অপর দুই আসামিকে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এই দু’জন হলেন- এপিবিএনের কনস্টেবল মো. রনি মোল্ল্যা (২১) ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম (২৩)।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে এপিবিএনের চার পুলিশ সদস্য ও গুলশান থানার এক এএসআইকে গ্রেফতার করা হয়। আলাদা অভিযানে পাঁচজনকে আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ ও এপিবিএন। আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) ও ৪১ ধারায় মামলা করা হয়।
পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচ পুলিশের তিনজনকে তিন দিন ও দু’জনকে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া। পরে তাদের রিমান্ড আরও একদিন করে বাড়ানো হয়।
মামলার বাদী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর এসআই মো. জাফর বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজিসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর চার কনস্টেবল গুলশান ১-এর গুদারাঘাট চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন। ওইদিন তারা একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করেন। এসময় তাকে তল্লাশি করে ৫২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তারা জব্দ ইয়াবা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা না দিয়ে নিজেরা নিয়ে যান এবং মোটরসাইকেল আরোহীকে ছেড়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, রোববার উত্তরায় এপিবিএন’র ব্যারাকের বাথরুমে প্রশান্তসহ আরেকজন কনস্টেবল ইয়াবা বিক্রির জন্য প্যাকেট করছিল। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে থানায় ফোন দেই। পুলিশ এসে তাদের ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এএ