রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলো খান ওরফে আলম খান উপজেলার দক্ষিণ চেচরী গ্রামের জেলেম খানের ছেলে এবং পাখি বেগম (৪০) একই এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চেচরী গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রীর পাখি বেগমের সঙ্গে তিন বছর ধরে পরকীয়া ছিল প্রতিবেশী আলো খানের।
এ ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তর্ক-বির্তকের একপর্যায়ে আলো খান তার স্ত্রী বিউটিকে (৪০) গলাটিপে হত্যা করেন। পরে বাড়ির পাশের একটি কচুক্ষেতে স্ত্রীর মরদেহ ফেলে দেন আলো। পরে এ ঘটনায় বিউটির ভাই ফোরকান বাদী হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আলো খান ও তার প্রেমিক পাখিকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১০ অক্টোবর পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আলো খানকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন ও পাখি বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম সরফরাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএস/এএটি