সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
পরে সগীর হোসেন লিওন বলেন, ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবে না।
গত ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন জানান।
অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
এ মামলায় গত ৬ আগস্ট দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের চার নেতাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি তিনজন হলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মামলায় বাদী তার অভিযোগে বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা তাকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে ১৫ আগস্ট আইএস দিয়ে বাদীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এছাড়াও বোমা মেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ।
তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করেছেন দাবি করে বাদী এবি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এরপর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
ইএস/আরবি/