সোমবার (৩০ সেপ্টেন্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাশ চন্দ্র অধিকারী উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাদের কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন- শাকিল কামাল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদার।
এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আশফাক রাজীব হাসান আসামি দু’জনকে আদালতে হাজির করে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ রিহ্যাব পরিচালক শাকিল ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আটক করে।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মরফিদুল বাংলানিউজকে জানান, রোববার চাকরির জন্য ধানমন্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে ওই নারীকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিহ্যাবের দুই পরিচালককে আটক করা হয়।
এদিকে, ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস বেগম বাংলানিউজকে জানান, ওই নারীর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ ডিএনএ টেস্টের জন্য পরনের কাপড় দিয়েছে। সেগুলোর ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে। প্রতিবেদন গুলো পেলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
তবে ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলেও জানান ঢামেক হাসপাতালের সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেন্বর ৩০, ২০১৯
এমএআর/আরআইএস/