বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস্ সামস জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর পরোয়ানা জারি হলেও ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বুধবার (২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে সিফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং আল কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র মুসলিমবিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সেফুদার বিরুদ্ধে।
এছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এইচএ/