বুধবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এনামুল হক। তিনি বাংলানিউজকে জানান, রমজানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ১১জন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ জুন সকালে খুলনার খালিশপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে অন্তর হোসেন রমজান বরিশালে আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে তার স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন ও ১৪ মাসের ছেলে রহিমকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে রূপসা সেতু এলাকায় ঘুরতে আসে তারা। একপর্যায়ে পূর্ব ঘটনার সূত্র ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রমজান হোসেন মায়ের কোল থেকে জোর করে বাচ্চাটিতে কেড়ে নিয়ে রূপসা নদীতে নিক্ষেপ করে। স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং চিৎকার করে সন্তানকে উদ্ধারের জন্য স্বামীর কাছে আকুতি মিনতি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রমজান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হাত-পা চেপে ধরে নদীতে ফেলে দেয়। এসময় সেতু এলাকায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে আসা লোকজন রমজানকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে এ ঘটনায় নিহত তৈয়েবা খাতুনের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/