আত্মসমর্পণ করা আসামিরা হলেন- অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), প্রিন্স মোল্লা (১৫) ও আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬) এবং প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তিন জনের জামিন নাকচ করেছেন। এদের মধ্যে এক জনকে কারাগারে ও দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তাদের শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আত্মসমর্পণ করা অপর আসামি প্রিন্স মোল্লার শুনানি চলছে।
রিফাত হত্যা মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বাংলানিউজকে বলেন, রিফাত হত্যা মামলার পলাতক আট অভিযুক্তের মধ্যে চারজন স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত প্রাপ্তবয়স্ক এক অভিযুক্তের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি অপ্রাপ্তবয়স্ত তিন অভিযুক্তের জামিন আবেদন শুনানির জন্য শিশু আদালতে পাঠান।
ওই তিন অভিযুক্তের জামিন আবেদনের শুনানি রোবরার শিশু আদালতে হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ মামলার পলাতক আট অভিযুক্তের মালামাল ক্রোক করার আদেশ দেন। এ মামলার এখনো চার অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।
পলাতকরা হলেন- প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে গঠিত অভিযোগপত্রের ছয় নম্বর অভিযুক্ত মুসা (২২), অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় নম্বর নাইম (১৭), নয় নম্বর রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫) ও ১০ নম্বর আসামি সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহ (১৭)।
২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এসএ/এসআরএস