সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার পৃথক দু’টি আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই দফায় ১৭ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিন গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর মতিঝিল থানার মাদক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। এ সময় ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিনস্ট্রেট কনক বড়ুয়া তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মাদক ও অস্ত্র আইনের অপর দুই মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সাতদিন ও ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের জন্য তাকে রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থেকে ক্লাবের সভাপতি খালেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ক্যাসিনো থেকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক এবং ২৪ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি মদ, ক্যাসিনো বোর্ড জব্দ করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে গুলশান ও মতিঝিল থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মোট চারটি মামলা করা হয়।
গ্রেপতারের দু’দিন পর গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে খালেদকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/