বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- পাপ্পু ওরফে অনন্তু, মো. তারিকুর রহমান ওরফে শিবলী হোসেন ওরফে উজ্জল এবং মো. শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল।
এছাড়া আসামি শুক্কুর আলী উজ্জলকে আরেকটি অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, পলাতক দু’আসামি পাপ্পু ও উজ্জ্বল আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর নির্দেশ দেন আদালত। তারা আত্মসমর্পণ করলে বা ধরা পড়লে তাদের মৃত্যুদণ্ড বিধি মোতাবেক কার্যকর করা হবে। আসামিরা ইচ্ছা করলে রায়ের বিরুদ্ধে সাতদিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করতে পারবেন। একইসঙ্গে আদালত মামলার নথি মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠান।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৩ মার্চ শ্যামলী পুলিশ ফাড়ির দিবা টহলে কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজী, ফজলুল হকসহ কয়েকজন ডিউটিরত ছিলেন। আনুমানিক বেলা পৌনে একটার দিকে এ সময় শ্যামলী ৩ নম্বর রোডের মাথায় গুলির শব্দ পেয়ে আরেক কনস্টেবল আকমান হোসেন এগিয়ে যান। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফজলুল হককে পড়ে থাকতে দেখেন। আর ছিনতাইকারীরা জলিল ফরাজি সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান।
এ সময় কনস্টেবল আকমান হোসেন তার শর্টগান নিয়ে গুলি ছুড়লে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে ফজলুল হককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আকমান হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ২৯ মার্চ এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হয়। ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। অভিযোগপত্রে দাখিলকৃত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
কেআই/এএটি