রোববার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন।
এর আগে, তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
রিমান্ডে পাঠানো শামীম বিল্লাহ (২০) বুয়েটের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। মোয়াজ আবু হুরায়রা (২০) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের একই ব্যাচের ছাত্র। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার পিরপুর গ্রামের মাশরুর-উজ-জামানের ছেলে।
শামীমকে গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকা থেকে এবং মোয়াজকে শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শুক্রবার সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শামীমের।
গত ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে ফাহাদকে নির্দয়ভাবে পেটান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে, শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহপাঠীরা। সেখানে চিকিৎসক ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এর আগে চার দফায় ১৬ জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত। অসুস্থ থাকায় মিজান নামে এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ইফতি মোশাররফ সকাল, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মেফতাহুল ইসলাম জিওন ও শনিবার (১২ অক্টোবর) অনিক সরকার নামে ছাত্রলীগের তিন নেতা ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
কেআই/একে