গ্রিনলাইন পরিবহনের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। পরে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার আদেশ দিয়ে চিকিৎসার জন্য খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল।
পরে ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ এক মাস সময় দেন হাইকোর্ট।
পরে চিকিৎসার জন্য খরচ দিলেও অবশিষ্ট টাকা দেয়নি। এরপর ১৫ মে হাইকোর্ট ওই টাকা দিতে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু এই সময়েও তারা কোনো যোগাযোগ করেনি। এরপর আদালত এক মাস সময় দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ জুন রাখেন। পরে ২৫ জুন আদালত কিস্তিতে টাকা (প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা করে) শোধের আদেশ দিয়েছিলেন।
এরপর ২৯ জুলাই আরও ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করার পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ অক্টোবর দিন রাখেন। এর মধ্যে গ্রিনলাইন পরিবহনের মালিক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
ইএস/এএ