হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শুনানি গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এরপর অপর একটি বেঞ্চ শুনানি গ্রহণেও অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, শুনানি গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।
পরে আবেদনকারীরা আরেকটি বেঞ্চে গেলে আদালত এ মুহূর্তে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না বলে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আবরারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি কঠোর অবস্থানে থেকে বলেছেন- আসামি যে হোক তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে যাদের নাম এসেছে সেসব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেজন্য আদালত এ মুহূর্তে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে চান না। তবে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ।
পরে একেএম ফয়েজ জানান, তিনটি ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করি। আদালত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখভাল করছেন। তাই এখন রিটের শুনানি নেননি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহীন বাবু গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেন। আবরাবের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
ইএস/এইচএ/