বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদেনের ওপর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শুনানি হতে পারে।
গত ২৬ অক্টোবর (শনিবার) এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু তালেব।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সচিব কাজী ওয়াকিল নওয়াজ স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে ‘বন্দর এলাকায় আদায়যোগ্য শুল্ক (টার্মিনাল প্রবেশ ফি)’ শীর্ষক কলামে বলা হয়, বরিশাল, চাঁদপুর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা নদী বন্দরে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের জন্য মাথাপিছু প্রতিবার (প্রবেশ ফি আট টাকা ও যাত্রীকল্যাণ তহবিল দুই টাকা) ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আর আরিচা, শিমুলিয়া, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, কাজীরহাট, নরাদহ, টঙ্গী, কক্সবাজার, চরজানাজাত, মেঘনাঘাট, মীরকাদিম, ছাতক, ঘোড়াশাল, ফরিদপুর, চিলমারী ও অন্যান্য নদীবন্দরে (ভবন ব্যতীত বা আধাপাকা টিনশেড ভবনের টার্মিনাল টিকেট) টার্মিনাল প্রবেশের জন্য মাথাপিছু প্রতিবার ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৮ এর ১৯(২)(সিসি) অনুসারে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিআইডব্লিউটিএ উক্ত ফি নির্ধারণ করতে পারে না। এটি সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘সংসদের কোনো আইনের দ্বারা বা কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাইবে না। ’ তাই এটি বাতিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা ফি অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করার জন্য রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে নৌ-সচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, সচিব, পরিচালক (অর্থ), যুগ্ম পরিচালক, উপ-পরিচালক (বন্দর) ও ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ২ অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের বরাবরে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু তিনি ওই নোটিশের তিনি কোনো জবাব পাননি বলে জানান আবু তালেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস