ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফমেক হাসপাতালে পর্দা কেলেংকারি: ঠিকাদারসহ দু’জন কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
ফমেক হাসপাতালে পর্দা কেলেংকারি: ঠিকাদারসহ দু’জন কারাগারে

ফরিদপুর: ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের বহুল আলোচিত ‘পর্দা কেলেংকারি’ ঘটনায় দুদকের মামলায় ঠিকাদারসহ দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

পরস্পর যোগসাজশে অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতিত উচ্চমূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি (ইকুইভমেন্ট) ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে দুদক।

এরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রের্ডাসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার ভাই বর্তমানে ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন।

 

এর মধ্যে অনিক ট্রের্ডাসের স্বত্বাধিকারী মামুন গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন। অপর ভাই সাজ্জাদ গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন। দু’জনের জমিনের সময়সীমা অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তারা ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।  

এ সময় আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী মজিবর রহমান জানান, হাইকোর্ট এ অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা ছিল। সে অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৭ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে পরস্পর যোগসাজশে অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতিত উচ্চমূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি (ইকুভমেন্ট) ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে ফমেক হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, দু’জন ঠিকাদার, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।