ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বিয়ে গোপনে’র অভিযোগে সঙ্গীতশিল্পী মিলাকে তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
‘বিয়ে গোপনে’র অভিযোগে সঙ্গীতশিল্পী মিলাকে তলব

ঢাকা: বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণার অভিযোগে সাবেক স্বামীর দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা ও তার বাবা শহীদুল ইসলামকে তলব করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন।

আগামী ১১ মার্চ সশরীরে হাজির তাকে আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছেন মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন আল কাইয়ুম।

গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মিলার সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারী এ মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর অভিযোগ তদন্তে পল্লবী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।
 
এরপর পল্লবী থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম তদন্তের পরমিলা ও তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়েই বৃহস্পতিবার মিলা ও তার বাবাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
  
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর বুঝতে পারেন, মিলা বদমেজাজী, অহঙ্কারী, নেশাগ্রস্ত ও অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী। এ কারণে তাদের দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে বাদীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই মামলায় বাদী গ্রেফতার হয়ে জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক দেন। তালাক হওয়ার পর মিলা বাদীর বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে একটি কম্পিউটার ও একটি মোবাইল নিয়ে যান।  

এছাড়া বাদীর মোটরবাইকে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে বাদীকে উত্ত্যক্ত ও অপমান করতে থাকেন। পরে বাদীকে হত্যার জন্য ২০১৯ সালের ২ জুন এসিড নিক্ষেপ করেন।

ওই ঘটনায় বাদী একটি মামলা করেছেন। এরপর বাদী জানতে পারেন, তার সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম নূরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিয়ে করেন। মিলা ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম ওই বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণা করেন।

এছাড়া প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালেল ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদীর সঙ্গে বিয়ের সময় ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করেন। পারভেজ সানজারীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় মিলা ও তার পিএস কিমকে আসামি করা হয়।  

ওই মামলায় কিম গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে মিলাকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু কিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। সেখানে বাদী নারাজি দাখিল করেছেন। আর বাদীর বিরুদ্ধে মিলার দায়ের করা মামলা বর্তমান সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।  

একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারীর সঙ্গে মিলার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৭ সালের ১২ মে বিয়ে করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
‌কেআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।