ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফিটনেসহীন গাড়ি বন্ধে প্রতি জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
ফিটনেসহীন গাড়ি বন্ধে প্রতি জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ

ঢাকা: সারাদেশে ফিটনেসবিহীন, নিবন্ধনহীন, চলাচলের অযোগ্য অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং এসব গাড়ি বন্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ এবং পুলিশের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় একটি ট্রাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম এর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিব আদালতের নির্দেশনা পালন করতে হবে।

এছাড়া টাস্কফোর্সের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইন ফিরোজী ও অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন, আনফিট ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও নতুন সড়ক আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে সারাদেশে প্রত্যেক জেলায় টাক্সফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আমিন উদ্দিন মানিক আরো বলেন, বিআরটিএ আজ আদালতকে জানায় তারা জনবল সংকটের কারণে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারছেন না। তারা টাক্সফোর্স গঠনের আবেদন করেন। এজন্য হাইকোর্ট টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন।

এই টাক্সফোর্স সব গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করতে পারবে এবং ফিটনেসবিহীন, আনফিট ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি আটক, চালককে গ্রেফতার, জরিমানা ও গাড়ি ডাম্পিং করতে পারবে।

এই আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী তিন মাস পর হাইকোর্টকে জানাতে বলেছেন। আগামী ১ জুন এই রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।

গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

‘রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

রুলের বিবাদীরা হলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ ডিরেক্টর (রোড নিরাপত্তা) ও দুদক চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।