ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তাস: হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
তাস: হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন

ঢাকা: অর্থের বিনিময়ে ১৩টি অভিজাত ক্লাবে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা অবৈধ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।

ঢাকা ক্লাব ও গুলশান ক্লাব হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

হাইকোর্টের রায়ের পরে রেদোয়ান আহমেদ রানজীব বলেছিলেন, অর্থের বিনিময়ে এবং ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে হাউজি, ডাইস তাসসহ যেসব খেলা হয় এগুলো সব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবিলম্বে এসব খেলা বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করতে বলেছেন।

তিনি বলেন, ১৩ ক্লাবসহ মেট্রোপলিটন এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অর্থাৎ সারাদেশে এ ধরনের খেলা বন্ধ করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া এসব খেলার অপরাধে আইনে থাকা শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন আদালত।  
 
ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলার বিরুদ্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর এ রায় দেন আদালত।  
 
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে ২৮ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়। পরে দুই দফা তারিখ পেছানো হয়।

২০১৬ সালে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবকে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও এ ব্যাপারে রুল জারি করা হয়েছে।

রুলে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং রুল নিষ্পত্তিতে আদেশ দেন।

রিটের বিবাদীরা হলেন- স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, খুলনা মহানগর, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক।  

ক্লাবগুলো হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।