ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এবার মাদক মামলায় জি কে শামীমের জামিন প্রত্যাহার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
এবার মাদক মামলায় জি কে শামীমের জামিন প্রত্যাহার

ঢাকা: অস্ত্র মামলার পর এবার মাদক মামলায়ও ঠিকাদার গোলাম কিব‌রিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে দেওয়া জামিনাদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৮ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নজের আসায় আদালত অর্ডার রিকল করে নট প্রেস করেছেন।

 

এর আগে দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অস্ত্রের মামলায়ও রিকল করে  আদেশ দেন।

রোববার সকালে এ বেঞ্চে সম্পূরক কার্যতালিকায় জি কে শামীমের মামলাটি আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল। যে মামলায় তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি ৬ মাসের জামিন পেয়েছিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ও শওকত ওসমান।

পড়ুন>> অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমের জামিনাদেশ প্রত্যাহার
  
শনিবার (৭ মার্চ) তার আইনজীবী শওকত ওসমান জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ ও ৬ তারিখে তিনি হাইকোর্টের দুই বেঞ্চ থেকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। একটি এক বছর ও অপরটিতে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন।
 মানিলন্ডারিং ও দুদকের আরও দু’টি মামলা আছে সেগুলোর জন্য অলরেডি হলফনামা করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী।

অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এরমধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়া‌রি) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

জি কে শামীম ছাড়াও এ মামলার অ‌ভিযুক্ত সাত দেহরক্ষী হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। এ সময় আসা‌মিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপ‌স্থিত ছিলেন এবং নিজেদের নির্দোষ বলে দা‌বি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।