ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: নেত্রকোনার খলিলের মৃত্যুদণ্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
মানবতাবিরোধী অপরাধ: নেত্রকোনার খলিলের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার খলিলুর রহমানকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

এর আগে গত ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।

আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

শুরুর দিকে এ মামলায় পাঁচ আসামি ছিল। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাকি চারজন হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী ও জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ।

তবে বিচার চলাকালে বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।  

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।