ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় যুবকের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় যুবকের কারাদণ্ড লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় মো. হারুনুর রশিদ হারুন (৩২) নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় অভিযুক্ত সহিদ উল্যা সবুজ (৩৯) নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আদালতে সবুজ আদালতে উপস্থিত থাকলেও হারুন পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।  

খালাসপ্রাপ্ত সবুজ ওই পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের মৃত আবদুস সোবাহানের ছেলে।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারুনের নামে আরও বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা বিচারাধীন বলে জানা গেছে।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ০২ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ৫২ টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।  
জেলা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এহ্তেশামুল হক বাদী হয়ে হারুনুরকে প্রধান করে দুইজনের নামে জেলা সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন এবং গ্রেফতার হারুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে সবুজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।  

২০১৯ সালের ০৬ জানুয়ারি ডিবির এসআই সোহাগ পহলান আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামি হারুনের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি সবুজকে খালাসের রায় দেন।  

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।