ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পল্লবীতে স্কুলছাত্র হত্যা: দুই ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
পল্লবীতে স্কুলছাত্র হত্যা: দুই ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী এলাকায় মেহেদী হাসান (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় দুই ভাইসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নান্নু মিয়া ও তার স্ত্রী শাহিনুর রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। এদের মধ্যে ওলি বাংলাদেশি। অপর ৭ জনই বিহারি।

বিচারক আদেশে বলেন, এটি একটি হত্যা মামলা। যার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তবে আসামিদের বয়স কম হওয়ায় এবং পূর্বে কোনো মামলা না থাকায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ফারুকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজি মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ওই এলাকার নান্নু ও শাহিনুর মাদক ব্যবসা করতেন। ঘটনার আগে স্থানীয় লোকজনসহ মোশরাফ মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোশারফের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যায় ওলি। তার ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়।

সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মোশারফ দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশারফ হোসেন ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। ১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।