স্বামীর আয়–রোজগার বেশি হলে যেখানে স্ত্রীরা বেশি খুশি থাকেন। সেখানে স্ত্রীর আয় বেশি হলে তা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেন না পুরুষ সঙ্গী! এমনটাই উঠে এসেছে লন্ডন থেকে চালানো এক গবেষণায়।
এশিয়া বা আফ্রিকার মতো পিছিয়ে পড়া মহাদেশের কোনো রাষ্ট্র নয়, খোদ আমেরিকার মতো প্রগতিশীল দেশেরই এ অবস্থা। লন্ডনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আমেরিকার প্রায় ৬ হাজার নারী–পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়।
এতে অবাক করা এতথ্য সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে পুরুষরা একা উপার্জন করেন, তাদের ওপর প্রবল মানসিক চাপ থাকে। আবার যে পুরুষের নারী সঙ্গীরা পরিবারের সামগ্রিক উপার্জনের ৪০ শতাংশ উপার্জন করে আনেন, সেই পুরুষরা সবচেয়ে সুখী থাকেন।
কিন্তু স্ত্রীর উপার্জনের পরিমাণ যখন ৪০ শতাংশ পেরিয়ে যায়, তখন আবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তারা। স্ত্রী তার থেকে বেশি উপার্জন করছেন, এটা মেনে নিতে পারেন না তিনি। ফলে তার মধ্যে এক মানসিক যন্ত্রণা শুরু হয়।
এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সাধারণত আর্থিক স্বাধীনতা পুরুষরা নিজেদের হাতেই রাখতে এখনও পছন্দ করেন। এজন্যই নারীর আর্থিক স্বচ্ছলতা পুরুষ সঙ্গীর থেকে যদি বেশি হয়, তাহলে যেন অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কায় থাকেন পুরুষটি।
তবে সব পুরুষকে এক করে দেখলে চলবে না। আমাদের দেশে কর্মজীবী নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে পুরুষরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এসআইএস/এসআরএস