শীত এলেই ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি ও কফের সমস্যা দেখা দেয়।
এগুলোকে বাংলাদেশে সাধারণ সমস্যা বলেই মনে করে মানুষ। তবে এতে ভোগান্তি চরমে ওঠে অনেকের।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। সময় মতো এর চিকিৎসা না করা হলে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতিও হতে পারে। এসব সমস্যার সমাধান পেতে এমবিবিএস চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বেশিরভাগ মানুষ নিজেই ফার্মাসি থেকে ঠাণ্ডা কমানোর ওষুধ কিনে সেবন করে থাকেন।
তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করে ঘরোয়া উপায়ে এসব সমস্যা কমানোর প্রাথমিক চেষ্টা করা যায়।
তাহলে চলুন জেনে নেই এমন কিছু ঘরোয়া উপায়, যা গলায় ও বুকে কফ জমার সমস্যা উপশমে বিশেষ কার্যকরী-
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা দ্রুত পরিষ্কার হয়। এক গ্লাস গরম পানিতে ২-৩ টেবিল চামচ লবণ মেশান। এটি দিয়ে ভালোভাবে গার্গল করুন। কমপক্ষে প্রতিদিন দুই বেলা গার্গল করুন। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট সংক্রমণ প্রতিরোধেও এই ঘরোয়া চিকিৎসা দারুণ কার্যকর।
খেতে হবে মধু ও আদা
এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে খেতে হবে। গলা ব্যথা এবং শুষ্ক কাশি উপশমের জন্য প্রতিদিন তিনবার খান এটি। আদা গলা ব্যথা কমায়, মধু কাশি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ভেষজ চা খান
শীতে গরম চা খুবই কার্যকরী। তবে গলা ব্যথা কমাতে পিপারমিন্ট চা খুবই দরকার। এটি কফের চিকিৎসায়ও কার্যকর। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
স্টিম নিতে হবে
কফ পাতলা করার জন্য স্টিম নিন। দিনে একবার বা দুইবার এটি করতে পারেন। স্টিম নিলে আপনার শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টে জমে থাকা কফ পরিষ্কার হবে। তবে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশালে এটি আরও কার্যকর হতে পারে।
পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
কফের সমস্যা দূর করতে খাওয়া-দাওয়ারও দিকে নজর দিন। এলাচ, পেঁয়াজ, আনারস, আদা, রসুন এবং গোলমরিচ বেশি বেশি খেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এসএএইচ