২৮ বছরে পা রাখলো ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘রঙ বাংলাদেশ’। ২০ ডিসেম্বর ছিল দেশের শীর্ষসারির ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
১৯৯৪ সালে এদিন ‘আমরা সময়কে রাঙিয়ে তুলি’ স্লোগানে স্বপ্নময় এই উদ্যোগের সূচনা হয় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার শান্তনা মার্কেটের ছোট্ট পরিসরে। শুরুতে এর নাম ছিল ‘রঙ’। এরপর গত ২৮ বছরে ব্র্যান্ডটি ফ্যাশন অনুরাগীদের ভালোবাসায় ছড়িয়েছে দেশে-বিদেশের নানা প্রান্তে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অন্যত্রও শাখা বিস্তার হয় ‘রঙ বাংলাদেশ’ নামে।
নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক সামগ্রীর নানান প্রদর্শনী আয়োজনের পাশাপাশি ২০১০ সালে রঙধনু শিরোনামে অনন্য প্রদর্শনী আয়োজন করে বিপুল সুনাম অর্জন করেছিল রঙ।
২০১৫ সালে ছন্দপতনের বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠে রঙ। প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাসের সঙ্গে এক ঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় নতুন করে বিকশিত হয় ‘রঙ বাংলাদেশ’রূপে।
রঙ বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী টিম, ফ্যাশনের এই কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিচ্ছে। দেশীয় ফ্যাশন শিল্পের অন্যতম এই ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেছে। ফলে রঙ বাংলাদেশের অনুরাগীরা হাতের নাগালেই পাচ্ছেন প্রিয় ব্র্যান্ডের পোশাক ও উপহারসামগ্রী।
রঙ বাংলাদেশের অনলাইন প্লাটফর্ম, নিজস্ব ই-কর্মাস সাইট রয়েছে। ফেসবুকসহ নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে দেশে-বিদেশের ক্রেতারা বাসায় বসেই পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির সব সামগ্রী।
রঙ বাংলাদেশ বরবারই থিম নির্ভর কাজ করে থাকে; তা সে উৎসবই হোক বা উপলক্ষ। ২০১৫ হতে ইতিমধ্যে হায়া সোফিয়া মসজিদ,ইন্দোনেশিয়ান বাটিক, কাঠখোদাই নকশা ,বাংলার এতিহ্যবাহী গয়না, শিল্পী যামিনী রায়ের চিত্রকলা, নকশি কাঁথা,ইবান টেক্সটাইল,আফ্রিকান মাড হাউজ , ইসলামিক নকশা, শিল্পী কামরুল হাসানের চিত্রকলা, সন্দেশের ছাঁচ, জ্যামিতিক নকশা, ইসলামিক নকশা, ফ্লোরাল মোটিফ, শীতল পাটি, সাঁওতালদের দেয়ালচিত্র, মঙ্গল শোভাযাত্রা, ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল, চাকমা সম্প্রদায়ের আলাম, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী’র রেখাচিত্র, মান্ডালা, ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল, রাজস্থানী ডিজাইন, মোঘল আর্ট, কাতান, টাইলস, শতরঞ্জি, মধুবনী, সুজনী সেলাই, মান্ডালা, আলপনা, কলমকারী, কার্পেট, ট্রাক আর্ট, অরিয়েন্টাল রাগ, পূজার ফুল থিম নিয়ে প্রোডাক্ট লাইন তৈরী করেছে রঙ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসএএইচ