সুস্থ ও ফিট থাকতে সবাই নিয়মিত ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করার কথা বলা হয়। তবে কিছু কিছু সময় আছে যখন ব্যায়াম করলে শরীরে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জেনে নেই কখন ব্যায়াম করতে বারণ: সার্জারির পর এক্সারসাইজ শুরু করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তারপরও দেখা যায়, এক্সারসাইজ করলে সমস্যা হয়ে যেতেই পারে।
বিশেষ করে সিজারিয়ান ডেলিভারির পর মায়েরা খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে ফিট ফিগারে ফিরতে চান। তবে এ সময় অনেক বেশি একটু সতর্ক থাকতে হয়। তাই ব্যায়াম তো করবেনই, কোনো রকম ব্যথা বা অসুবিধা নিয়ে নয়। এমন কিছু হলে রেস্টে থাকুন কিছুদিন। তাহলে অতি দ্রুতই আবার শুরু করা যাবে ফিটনেস এক্সারসাইজ।
এক্সারসাইজ বয়সের সঙ্গে নানা সমস্যাকেই রোধ করতে পারে। তবে কোনো সাময়িক শারীরিক সমস্যা নিয়ে এক্সারসাইজ করা ঠিক নয়। এত হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবন থাকে।
শরীরে কোনো রোগ থাকলে সেটি নিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। তাহলে রোগ আরও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া কোনো জয়েন্টে ব্যথা থাকলেও সেই সময় ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে। জয়েন্টে কোনো রকম ইনফেকশন থাকলেও করা যাবে না। এতে আরও ক্ষতি হবে। এ সময় এক্সারসাইজ বন্ধ রাখাই ভালো।
কোমরে অনেক কারণেই ব্যথা হতে পারে। যেমন শরীরের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট চেয়ারে না বসলে, দীর্ঘ সময় ধরে নরম বিছানায় ঘুমালে, এমনকি বেখেয়ালে হঠাৎ নিচু হলেও ব্যথা বা সমস্যা হতে পারে। এ সময় কোনো রকম এক্সারসাইজ না করাই ভালো। সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোমর ঝুঁকিয়ে কাজ কতটা কম করা যায়। আবার অনেক সময় ভুল এক্সারসাইজ করার ফলে কোমরের হাড়ও সরে যেতে পারে।
ঘাড়ে ব্যথার সময় যে এক্সারসাইজগুলো করলে ঘাড়ে প্রেসার পড়ে, সেগুলো করা যাবে না। শরীরের ওপরের অংশের ব্যায়াম করার সময় একটু খেয়াল রাখতে হবে।
অবশ্যই অভিজ্ঞ ট্রেনার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এসআরএস