থাইরয়েড হলো ছোট একটি প্রজাপতির আকারের গ্রন্থি। যা আমাদের শরীরের কয়েকটি বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
ভুজঙ্গাসন: প্রথমে উপুড় হয়ে দু’পা জোড়া করে সোজা রেখে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের তালু মেঝের ওপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এরপর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরটা ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলুন। মাথা ঘাড়ের দিকে হেলিয়ে ওপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন এই ব্যায়ামটি করুন।
হলাসন: প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার কোমরে ভর দিয়ে পা দু’টি ধীরে ধীরে ওপরে তুলুন। পা যেন ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার ওপর দিয়ে পেছনের দিকে নিয়ে যান। এবার পিঠ ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলুন যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। এবার বুকের কাছে থুতনি নিয়ে আসুন। হাঁটুর তালু দিয়ে পিঠের ভর রাখুন। এই আসনটি প্রায় কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
সর্বাঙ্গাসন: হলাসনের মতোই এই আসনটি করার জন্যে প্রথম চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর পিঠের ওপর ভর দিয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে কোমর ও পা দুটি ওপরে তুলে ধরুন। এ বার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর ওপর। কাঁধ, কোমর, পায়ের পাতা যেন এক সরলরেখায় থাকে। বুকের সঙ্গে থুতনি স্পর্শ করে দৃষ্টি স্থির করে সরাসরি পায়ের পাতার দিকে তাকান। কিছুক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন। মিনিট দুয়েক পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
মানসিক চাপের কারণে থাইরয়েড হরমোনের প্রতিটি থাইরয়েড রিসেপ্টর কোষের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। এর ফলে ইমিউন সিস্টেমও দুর্বল হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত চাপের কারণে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ ক্রমশ কমতে শুরু করে। স্ট্রেস হাইপোথাইরয়েডিজমকে আরও গুরুতর করে তুলতে পারে।
থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মানসিক নিয়ন্ত্রণ করা অবশ্যই প্রয়োজন। এজন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা, বই পড়ার মতো কাজগুলো করলে মানসিক চাপ কমে। থাইরয়েড গ্রন্থিকে প্রশমিত করতে পারে। এমন কিছু কাজ করুন যাতে স্ট্রেস কমতে সাহায্য করে। জীবনধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমতে হবে ও উঠতে হবে, ধ্যান করা, গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন, মেলোডি গান শুনুন, তাতে মানসিক উদ্বেগ কমে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৩
এএটি