ঘুম শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। অনেকেই ঘুমের জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন।
যা করবেন
প্রতিদিন নিয়মিত একই সময় ঘুমাতে যান। দেহকে একটি রুটিনে বাঁধার চেষ্টা করুন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও একই রুটিন মেনে চলুন।
সম্ভব হলে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করুন।
ঘুম আসতে বিলম্ব হলে লম্বা করে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এভাবে কয়েকবার করুন। মেডিটেশন করতে পারলে ভালো।
ঘুমের এক ঘণ্টা আগে কৃত্রিম আলো যেমন কম্পিউটার, টিভি কিংবা মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এসব আলো দেহঘড়িকে জেগে থাকার সংকেত দেয়।
নিয়মিত কায়িক শ্রম করুন বা ব্যায়াম করুন। এতে শরীরে অবসাদ তৈরি হবে না। ঘুম ভালো হবে।
যা করবেন না
শেষ বিকেল বা সন্ধ্যার পর কফি বা ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় পান করবেন না।
সন্ধ্যার পর বিছানায় গড়াগড়ি করবেন না।
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে চিন্তাযুক্ত কোনো কাজ করবেন না, যতটা সম্ভব রিল্যাক্সড মুডে থাকুন।
রাতের খাবার ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই সেরে ফেলুন।
মদ, সিগারেট ও অন্যান্য নেশাজাতীয় অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করুন। নিকোটিন, ক্যাফেইন ঘুমে বেশ ব্যাঘাত ঘটায়।
দিনের বেলায় ঝিমুনি এলে ঝেরে ফেলুন। এতে রাতের ঘুমের ব্যাঘাত হয়।
চাই উপযুক্ত পরিবেশ
ঘুমানোর জন্য ঘর প্রস্তুত করুন। ঘর যেন হয় নিঃশব্দ, অন্ধকার এবং তাপমাত্রা যেন অনুকূলে থাকে। বিছানার চাদর পরিষ্কার রাখুন।
ঘুমানোর আগে ঘরের সব ধরনের লাইট নিভিয়ে দিন।
থাকার ঘরটি যেন বেশি শীতল বা বেশি গরম না হয়।
মানসিক অশান্তি, কর্মক্ষেত্রের সমস্যা ও এসংক্রান্ত মানসিক চাপ ঘুমের সমস্যার অন্যতম কারণ। এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
জেডএ