কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। আর মাছের রাজা ইলিশ।
ইলিশে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাট ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। এই কোলাজেন ত্বক নমনীয় রাখতে সাহায্য করে, পড়তে দেয় না বয়সের ছাপ।
চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে ইলিশ। এতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি কমে আসার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করতে পারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে ইলিশ খান। এতে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ইলিশে সম্পৃক্ত চর্বি কম থাকে। ফলে সুস্থ থাকে হার্ট।
রক্তনালির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো রাখতে ইলিশ মাছ বেশ উপকারী। এতে ইপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। সে কারণেই ইলিশ মাছ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়ামে ভরপর ইলিশ। থায়রয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে আয়োডিন, সেলেনিয়াম উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে যা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ইলিশে থাকা খনিজ, বিশেষ করে ফসফরাস দাঁত এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি উপাদান। ইলিশে আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। আর ভিটামিন ডি খুব কম খাবারেই মেলে। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ডি শিশুদের রিকেট রোগ থেকে রক্ষা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
এএটি