কোমর ব্যথা প্রায় মানুষের জীবনের বড় সংকট। শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে এ ব্যথার শিকার হন।
চিকিৎসকরা বলেন, ব্যথা শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে। তা সম্ভব না হলে (ব্যথার তীব্রতা বেশি থাকলে) যেভাবে ব্যথা কম অনুভব হয়, সেভাবে বিশ্রাম নিতে হবে। পরবর্তী দিন থেকে ব্যথা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কোমর ব্যথা শুরু হলে তোয়ালে দিয়ে রোল করে কোমরের চারপাশে গোল করে বেঁধে নিন। এটি শুধুমাত্র বিছানায় বিশ্রামের সময় করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কোমরে গরম সেঁক দিলে উপকার পেতে পারেন। কোমর ব্যথার বিভিন্ন মলম ব্যবহার করতে পারেন। তবে মালিশ করবেন না।
ব্যথা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রয়োজনে মেডিসিন খেতে হবে। এ সময় বেশি হাঁটাচলা করা ঠিক হবে না। মেডিসিন নিলেও যেনতেন ব্যথানাশক খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।
যে ব্যায়ামগুলো করবেন
বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত শরীরের দুই পাশে রেখে দুই পা সোজা করে শুতে হবে। হাঁটু ভাঁজ না করে এক পা ওপরের দিকে তুলুন যত দূর সম্ভব। ১০ সেকেন্ড পা তুলে রাখতে হবে। একইভাবে অপর পা ওপরে তুলুন এবং একই সময় নিন।
এবার একইভাবে হাঁটু ভাঁজ না করে একসঙ্গে দুই পা তুলুন এবং একই সময় নিন। তার এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাঁটুকে বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড থাকুন। একইভাবে অপর হাঁটু বুকে লাগাতে হবে।
এই এক্সারসাইজ করার পরেও ব্যথা না কমলে সম্পূর্ণ চিকিৎসা পেতে আপনাকে সঠিক মোবিলাইজেশন, ম্যানুপুলেশন, স্ট্রেচিংয়ের মতো চিকিৎসা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
কোমরের ব্যথাযুক্ত স্থানে হালকা গরম কাপড়ের সেঁক দিতে পারেন। গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়েও এ সেঁক দিতে পারেন। এতে যন্ত্রণা কমবে এবং আরামবোধ করবেন। কালোজিরা, মেথি ও রসুন সরিষা তেলে ভেজে নিন। এ তেল হালকা গরম থাকাবস্থায় কোমর ব্যথায় ম্যাসাজ করুন।
কোমর ব্যথা কমাতে আদা খান। আদার পটাশিয়াম নার্ভের সমস্যা দূর করে। এতে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া হলুদ, লেবু, অ্যালোভেরা খেলেও কোমরের ব্যথা কমে। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামজাতীয় খাবার যেমন: দুধ, ঘি, পনির, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলেও কোমরের ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
এএটি