গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশিরভাগ মানুষই ভরসা রাখেন বিভিন্ন ধরনের ওষুধের ওপর। কিন্তু অনেকেই জানেন না, প্রকৃতিতে পাওয়া বিশেষ কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যারা প্রায়ই গ্যাস্ট্রিক এবং বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাদের প্রতিদিন খালি পেটে ভেজিয়ে রাখা কিশমিশ খাওয়া উচিত। এতে তাৎক্ষণিক সুবিধা পাবেন। কিশমিশের পানিতে শীতল করার গুণ রয়েছে, যা পেটে অ্যাসিড কমিয়ে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। কিশমিশের পানি অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
সবাই কমবেশি কলা খায়। মূলত সকালে নাশতার টেবিলে বেশি দেখা যায় কলা। কিন্তু আপনি জানেন কী? পেটের গ্যাস দূর করতে দারুণ কার্যকরী ফল কলা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে। তাই চেষ্টা করুন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে একটি কলা খেতে। এটি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দ্রুত কমিয়ে আনবে।
আদার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এর অন্যতম উপকারিতা হলো এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সহয়তা করে। মূলত আদা খাবার দ্রুত হজম করতে কাজ করে। খাবার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে আদা কুচি কুসুম গরম পানির সঙ্গে সামান্য বিট লবণ দিয়ে খেলে উপকার পাবেন। কারণ আদার মধ্যে উপস্থিত প্রধান উপাদান জিঞ্জেরল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের এ উপাদান পেট ফুলে থাকার সমস্যার সমাধানে দারুণ কাজ করে।
পুদিনা পাতায় রয়েছে গ্যাস্ট্রিক ভালো করার উপাদান। তাই অ্যাসিডিটির লক্ষণ দেখা দিলে কয়েকটি পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। অথবা এক কাপ পানিতে ৪-৫ টি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে পানীয় হিসেবেও খেতে পারেন।
পাকস্থলীর অ্যাসিড কমিয়ে পেটের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে জিরা। হজমেও খুব ভালো কাজ করে এটি। এক কাপ পানিতে সামান্য জিরা গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিন। বিকেলের হালকা নাশতা খাওয়ার পর এ পানীয় খেতে পারেন। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে ও শরীর ঝরঝরে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এএটি