চলতি মৌসুমে দিনে গরম আবার রাতে ঠাণ্ডা— এমন আবহাওয়ায় শরীর খারাপ হতে পারে কারও কারও। বসন্ত ঋতুতে বাতাসের সঙ্গে ফুলের রেণু, পাতা ওড়া বেড়ে যায়।
বসন্তকালের কাশি বেশির ভাগ সময় দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনা–আপনি সেরে যায়। উপসর্গ থেকে আরাম পাওয়ার জন্য কাশির সিরাপ নয়, বরং কিছু উপদেশ মেনে চলতে পারেন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে কফ পাতলা হবে। গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতেও কফ পাতলা হবে। শুকনো কাশিতে গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে গার্গল করুন। মুখে লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাবেন।
আদার রস এবং মধু এ দুটি জিনিসই বেশিরভাগ বাড়িতে আছে, তাই মধুর সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খেলেও হাঁচি কমতে পারে। এটি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট থেকেও মুক্তি দেয়।
লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আপনার হাঁচি বন্ধ করতে সহায়ক হতে পারে। আপনি যদি এটি দিনে তিনবার পান করেন তাহলে হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই সঙ্গে একটা গরম কাপড় রাখুন। আবার একগাদা শীতের কাপড় পরার কারণে ঘেমে গিয়ে ঘাম বসে শরীর খারাপ হতে পারে। ঠাণ্ডা বিবেচনায় রেখে কাপড়, কাঁথা ব্যবহার করুন।
বাড়িতে বা অফিসে কেউ ভাইরাস জ্বর বা হাঁচি-কাশিতে ভুগলে সতর্ক থাকুন। কারণ এগুলো সংক্রামক রোগ। তাই সম্ভব হলে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন।
কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, রক্ত দেখতে পেলে, কাশতে কাশতে যখন শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে বা প্রচণ্ড জ্বর থাকছে, কথা বলতে কষ্ট হলে ও কাশি দুই বা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে অবশ্যই বক্ষব্যাধিবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
এএটি