দিন দিন ভুঁড়ি বেড়ে যাচ্ছে? আয়নায় নিজেকে আর দেখতেও ইচ্ছে করছে না। চেহারার সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দিচ্ছে পেটের মেদ।
পুষ্টিতে ভরপুর শসা। এতে থাকা জলীয় উপাদান এই মৌসুমে শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। শসা চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের সম্পূর্ণ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। শসায় এত কম ক্যালরি আছে, যাতে মেদ জমার কোনো সুযোগই নেই।
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। আঁশজাতীয় এ খাবারটি খেলে দীর্ঘসময় ক্ষুধাবোধ হয় না। নিয়মিত শসা খেলে গলবে পেটের মেদ। প্রতিদিন টমেটো খেলেও দ্রুত কমবে পেটের মেদ।
পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত আদা ও রসুন খেলে পেটের মেদ কমে যাবে।
আপেল সিডার ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান মেদ কমাতে সাহায্য করে। পেটের চর্বি গলাতে সবার আগে খাদ্যা তালিকা থেকে বাদ দিন চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার। একেবারেই মিষ্টি খাওয়া চলবে না। চিনি জাতীয় দ্রব্য মেদ বাড়িয়ে দেয়। তাই ইচ্ছে হলেও মিষ্টি খাবেন না।
এছাড়া গ্রিন-টি পান করতে পারেন। গ্রিন-টিতে থাকা উপাদান পেটের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বা দুই কাপ গ্রিন-টি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং পেটের মেদ ঝরায়। করতে পারে কিছু পেটের ব্যায়াম। পেটের ব্যায়াম করলে চর্বি গলবে। যেমন সিট আপ বা ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। এছাড়াও বজ্রাসনেও মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।
গরম পানি সামান্য লেবু রস আর কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। এতে দ্রুত হারে কমবে পেটের মেদ। এই পানীয় ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া তাড়াতাড়ি ভুঁড়ি কমাতে চাইলে তেল খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিন। রেড মিট তো একেবারেই খাবেন না। বেশি করে সবজি জাতীয় খাবার খান। কোনো তৈলাক্ত মাছও এড়িয়ে চলা ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এএটি