ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চার পাশাপাশি অল্প খাওয়ার প্রবণতাও বেশ লক্ষণীয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুধু খাওয়ার পরিমাণই নয়, খাওয়ার সময়টিও ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদ অ্যাডেল ডেভিস ১৯৬০-এর দশকে পুষ্টির এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র বলেছিলেন। সকালের খাবার হওয়া উচিত সবচেয়ে ভারী। দুপুরের খাবার অপেক্ষাকৃত হালকা এবং রাতে একেবারেই কম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
চিকিৎসকরা বারেবারেই বলেছেন যে, একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত। সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
সকালের খাবার
সকালের খাবার আর রাতের খাবারের মধ্যে অন্তত ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। সকালে বেশি দেরি করে উঠলে কিন্তু এই ব্যবধান বজায় রাখা যাবে না। সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে প্রাতরাশ সেরে ফেলা উচিত। তা হলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। আর শরীরও সুস্থ থাকবে।
দুপুরের খাবার
খাবার হজম করতে পাচনতন্ত্রের প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই সকালের খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৪ ঘণ্টা পরে দুপুরের খাবার খাওয়া উচিত। প্রাতরাশ এবং দুপুরের খাবারের মধ্যে অন্তত সময়ের এই ব্যবধান না থাকলে বদহজম, অম্বলের মতো সমস্যা হতে পারে।
রাতের খাবার
দুপুরের খাবার ও নৈশ ভোজনের মধ্যে ৮ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। এই সময়টি দীর্ঘ হলে ভারসাম্য নষ্ট হয়। চিকিৎসকরা সব সময়ই রাতের খাবার হালকা রাখতে বলেন। এই অভ্যাস একজন ব্যক্তিকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি তার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
সকাল, দুপুর, এবং নৈশভোজ ছাড়াও মাঝের ব্যবধানে খিদে মেটাতে ভরসা রাখতে পারেন ফল এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এএটি