ঘুমের মধ্যে বা একটানা অনেকক্ষণ বসে বা শুয়ে থেকে ওঠার সময়ে পিঠ ও পায়ের পেশিতে টান ধরে। ধরুন, অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন, আচমকাই পিঠের পেশিতে টান ধরল, অথবা রাতে ঘুমিয়ে আছেন, পাশ ফিরতে গিয়ে দেখলেন পিঠ ও পায়ের পেশি টান ধরে অসাড় হয়ে গেছে।
পেশিতে টান ধরার অন্যতম কারণ হলো শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। আপনি পানি কতটুক কম খাচ্ছেন যে, ঘাটতি পড়ছে পেশির স্থিতিস্থাপকতায়। রাতে পাশ ফিরে শোয়ার সময়ে বা হাঁটাহাঁটির সময়ে, বসে বা শুয়ে থেকে ওঠার সময়ে পেশিতে আঘাত লাগছে। পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে গেলে বা ভিটামিন ও পটাসিয়ামের অভাব হলেও ঘন ঘন পেশিতে টান ধরতে পারে।
পেশিতে টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত জায়গায় বরফ সেঁক দিন। দ্রুত মাসাজ করে পেশিকে শিথিল করে তুলতে হবে। এমনভাবে মাসাজ করুন যাতে জায়গাটায় চাপ পড়ে, কিন্তু ব্যথা না লাগে।
গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন। এবার ভেজা তোয়ালে ব্যথার জায়গায় চেপে ধরে থাকুন। অনেকটা আরাম হবে।
একটি চেয়ারে ভর দিয়ে দাঁড়ান। যে পায়ে টান লেগেছে সেটি কোমর বরাবর সামনের দিকে তুলুন। ১০ সেকেন্ড রেখে নামিয়ে নিন। বার কয়েক এমন করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। পেশির টান ছেড়ে যাবে।
পিঠে টান ধরলে সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম হলো ভুজঙ্গাসান। উপুড় হয়ে শুয়ে, দুই হাতে ভর দিয়ে কোমর অবধি শরীর তুলতে হবে। দুই পা মাটিতে টানটান থাকবে। মাথা থাকবে সোজা। ওইভাবে ২০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। তিন বার করতে হবে এই ব্যায়াম।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পেশিতে টান ধরলে উষ্ণ গরম পানি পান করুন আর হাঁটাহাঁটি করুন, দেখবেন দ্রুত পেশি সচল হবে।
যদি ঘন ঘন পেশিতে টান ধরতে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘুমনোর সময়ে পায়ের নিচে বালিশ রাখুন। বেশি করে সবুজ শাকসবজি, ফল, ডিম, দুধ খেতে হবে। ডাবের পানি খান। যদি দেখেন টান ধরার পর পায়ের পেশি ফুলে উঠছে এবং সেখানকার ত্বকের রং বদলে যাচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৪
এএটি