শরীরের অন্যতম স্পর্শকাতর অংশ চোখ। আর চোখের ওপরেই পড়ে যাবতীয় চাপ।
শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা যেমন শরীরচর্চা করতে বলেন, তেমন চোখের আলাদা করে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, তা-ও বলেন। চোখ ভালো রাখতে কাজের ফাঁকেই চোখেরও চাই বিশ্রাম। মাঝেমাঝেই চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেওয়া জরুরি। তবে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে, চোখ ব্যথা, অনবরত পানি পড়ার মতো কিছু সমস্যা মেটাতে ভরসা রাখতে পারেন সহজ কয়েকটি শরীরচর্চা ও যোগাসনের ওপর।
* হাতের তালুর ব্যবহার: দু’হাতের তালু খানিক ক্ষণ ঘষে গরম করে নিন। ঘর্ষণের ফলে হাতের তালুতে তাপ উৎপন্ন হয়। এবার হাত দু’টি চোখ বন্ধ করে চোখের ওপরে রাখুন। চাপ দেবেন না। হালকা হাতে তাপ দিন চোখে। ১০ থেকে ১৫ বার একটানা এটি করুন। কাজের ফাঁকেও করে ফেলতে পারেন এই সহজ ব্যায়াম, চোখের আরাম হবে।
* চোখ ঘোরানো: গোল করে মণি ঘোরানোও চোখ ভাল রাখার জন্য বেশ কার্যকর একটি ব্যায়াম। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ১০ বার করে মণি ঘোরান। তার পর চোখ বন্ধ রাখুন মিনিট খানেক। দিনে দু’বার করে এই ব্যায়ামটি করার চেষ্টা করুন। চোখের পেশির শক্তি বাড়াতে এই অভ্যাস ভীষণ উপযোগী।
* ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা: প্রতি ৩-৪ সেকেন্ডের মধ্যে ১০ বার চোখের পাতা ফেলার অভ্যাস, চোখের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে একভাবে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমাঝে চোখের জন্য এই চর্চাটি করে নেওয়া ভালো। টানা এক মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলে দেখুন, চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
* এদিক-ওদিক তাকানো: এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে প্রথমে সোজাসুজি তাকান। এবার বাম পাশে ও ডান পাশে সমান দূরত্বের কোনও বস্তুর দিকে বারে বারে তাকান। মিনিট খানেক করুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন। চোখের পেশি সঞ্চালন ভালো রাখতে এই চর্চা ভীষণ উপকারী।
* বালাসন: হাঁটু মুড়ে গোড়ালির ওপর বসুন। এবার শরীরটা সামনের দিকে বেঁকাবেন। এমনভাবে বেঁকাবেন, যাতে বুক গিয়ে ঊরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দুটি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসুন। এই আসন চোখের জন্য উপকারী তো বটেই, তার সঙ্গে মানসিক অবসাদ ও হজমের গোলমালও দূর করতে সহায়ক হয়। এটি স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও খুব উপকারী। আসনটি করার সময়ে চোখ বন্ধ রাখুন। চোখের তো বিশ্রামেরও প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
এএটি