ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

টিভি কিউ : নির্বাচিত অনুষ্ঠান ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০

এটিএন বাংলা
রাত ৮টা ॥ ধারাবাহিক নাটক : মাধবী ভিলা (৮ম পর্ব) ॥ ডঃ নীহার রঞ্জন গুপ্ত’র উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটির কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ রচনা করেছেন শক্তি পদ রাজগুরু, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন প্রসূন বিশ্বাস (মিঠু) ॥ অভিনয় করেছেন রামেন্দু মজুমদার, জ্যোৎস্না বিশ্বাস, সরকার ফিরোজ, চিত্রলেখা গুহ, চ্যালেঞ্জার, অরুনা বিশ্বাস, জাহিদ হোসেন, শোভন, শোয়েব, হিল্লোল, মৌসুমী বিশ্বাস, গাজী রাকায়েত, সাজ্জাদ রেজা, মিস্টি, মুক্তি প্রমূখ। গল্প : মৃগাঙ্গ ও মহীতোষ দু’জন অভিন্ন হৃদয় বন্ধু এবং দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার।

মৃগাঙ্গ বাবু’র ছোট একটি কারখানা ছিলো। যার নাম ডায়মন্ড। স্বপ্নে গড়া এই কারখানাকে সে চেয়েছিল দেশের সবচেয়ে বৃহৎ কর্মসংস্থান হিসেবে গড়ে তুলতে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মৃগাঙ্গ বাবু হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রেখে যান বিধবা স্ত্রী সাবিত্রী আর একটি মাত্র সন্তান শ্বাশতকে। মৃগাঙ্গ বাবু’র বন্ধু মহীতোষ কোম্পানীর ব্যাংক লোন মাথায় নিয়ে যখন কিংকর্তব্যবিমুঢ়, ঠিক তখনই আবির্ভাব ঘঠে তার পূরোনো বন্ধু উকিল মহেন্দ্র’র। নামকরা এই উকিলই পরামর্শ দিয়ে মহীতোষের মাথা ঘুরিয়ে দেয়, যার ফলে মৃগাঙ্গ বাবু’র স্ত্রী ও সন্তানকে একটি কানাকড়ি না দিয়ে রাতারাতি ডায়মন্ড কোম্পানীর নাম মুছে দিয়ে মেশিনপত্র সরিয়ে নিয়ে ওরিয়েন্টাল নাম দিয়ে শুরু করে নতুন কোম্পানী। অসহায় সবিত্রী দেবী মহীতোষের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে একমাত্র ছেলে শাশ্বতকে নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। ছেলেকে স্বামীর মত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করেন। কিছু দিন পরে সাবিত্রী দেবী মৃত্যুবরণ করেন। শেষ বেলায় ছেলে শাশ্বতকে আদেশ দিয়ে যান,আমাদের এত বড় তি যারা করল তাদের তুই কোন রকমেই মা করবি না।
 
রাত ৯টা ২০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : পৌষ ফাগুনের পালা (১৮ পর্ব) ॥ গজেন্দ্রকুমার মিত্রের ‘ত্রয়ী’ উপন্যাস কলকাতার কাছেই, উপকণ্ঠে ও পৌষ ফাগুনের পালা অবলম্বনে নির্মিত এই ধারাবাহিক নাটকটির নাট্যরূপ দিচ্ছেন ইরাজ আহমেদ ও মনসুর রহমান চঞ্চল। আফসানা মিমি’র পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, হুমায়ূন ফরীদি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, কেয়া চৌধুরী, আফরোজা বানু, ত্রপা মজুমদার, হাসান ইমাম, শর্মিলী আহমেদ, জ্যোৎস্না বিশ্বাস, মাসুদ আলী খান, ইন্তেখাব দিনার, সানজিদা প্রীতি, সোহানা সাবা, সাজু খাদেম, দিলীপ চক্রবর্তী, ইউসুফ রাসেল, জয়িতা মহলানবীশ, আইরিন সুলতানা, সোলায়মান খোকা, মায়া ঘোষ, শাখাওয়াৎ হোসেন রেজভী প্রমূখ ॥ গল্প : ১৯৬০-১৯৭০সালের প্রোপট। ঢাকা এবং ঢাকার উপকণ্ঠের গ্রাম। রাসমনির বিয়ে হয়েছিল তের বছর বয়সে আটান্ন বছর বয়সী জমিদারের সাথে। পারিবারিক ষড়যন্ত্রে জমিদারের মৃত্যু হলে বিধবা রাসমনি তিন মেয়ে কমলা, শ্যামা ও উমাকে নিয়ে চলে আসে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায়। তিন মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় রাসমনির জীবনযুদ্ধ। সময়ের পরিক্রমায় মা এবং এই তিন মেয়ের জীবনের আনন্দ বেদনা আর টিকে থাকার লড়াইকে ঘিরে এই নাটকের মূল কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।

রাত ১০টা ৫৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : নন্দিনী (১৯ পর্ব) ॥ সৈয়দ আওলাদের চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, মৌসুমী বিশ্বাস, শারমিন শীলা, আতাউর রহমান, ওয়াহিদা মলিক জলি, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নিসা, মিরানা জামান, সুষমা সরকার, ফজলে করিম টুটুল প্রমূখ। গল্প : বাবা, ভাই-ভাবি ও নানিকে নিয়ে নন্দিনীর দিনগুলো সপ্নময়। কারন সে সংসারে সবার ভীষন আদরের। একদিন তাদের বাসায় বেড়াতে এলে নন্দিনীর সাথে পরিচয় হয় সাকিবের। নন্দিনী প্রথম দেখায় সাকিবকে ভালবেসে ফেলে। সাকিবের কেউ নেই এক ফুফু ছাড়া। পরিবারের সম্মতিতে মহাধুমধামে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর শুন্য হয়ে যায় নন্দিনীর পরিবার। ওদিকে নন্দিনী আবিস্কার করে তার ননদ, শশুর, শাশুড়ি এমন কি দাদা শশুরও আছেন। নন্দিনী অবাক হয়ে যায়। আরো অবাক হয় যখন হুইল চেয়ারে এনে হাজির করে এক নির্জিব মৃতপ্রায় মেয়ে রুবীকে। ঘটনা দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। হুইল চেয়ারের মেয়েটি রুবী, যে একসময় তার ভাই ইরফানের প্রতারনার শিকার। নন্দিনীর বিয়ে মুলত একটি ফাঁদ। পাল্টে যায় ভালবাসার মানুষ সাকিব। বোনের প্রতিশোধ নিতেই সে বিয়ে করেছে নন্দিনীকে।

চ্যানেল আই
আজ রাত ৭টা ৫০ মিনিট ॥ চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’১০ : ক্যাম্প রাউন্ডের সম্প্রচার ॥ এ রাউন্ডে বিচারকের দাদিত্বে রয়েছে মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, শাম্মী আখতার ও আবিদা সুলতানা। সিথি সাহার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন তাহের শিপন।

রাত ৯.৩৫ মিনিট ॥  বিনোদনধর্মী পারিবারিক গেম শো : রূপচাঁদা ফ্যান্টাস্টিক ফ্যামেলি ॥ মোশারফ করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন ইফতেখার আহমেদ ফাহমি॥  বাংলাদেশে এটি প্রথম পারিবারিক গেম শো। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (বিইওএল)-এর ব্র্যান্ড রূপচাঁদা এবং বিটবি। দেশব্যাপী সুস্বাস্থ্যের আনন্দ বার্তা নিয়ে এবং সুস্থ পরিবারের বিজয় নিশ্চিত করতে মূলত এই অনুষ্ঠানের প্রধান ল্য।

রাত ১১টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : অল আউট ॥ সুমন সরকার রচিত এধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন হাছিবুল ইসলাম মিজান। এতে অভিনয় করেছেন সিমু, মুক্তি, সুমনা সোমা, লোপা, জয়, জাহিদ হাসান, ডলি জহুর ও আবুল হায়াত।

এনটিভি

রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥  ধারাবাহিক নাটক  : মানবজমিন ॥। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম ও মুরাদ পারভেজ, পরিচালনা করেছেন মুরাদ পারভেজ ॥ অভিনয়ে : রাইসুল ইসলাম আসাদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, তৌকির আহমেদ, জিতু আহসান, অপূর্ব, সোহানা সাবা, বন্যা মির্জা, তাজিন আহমেদ, আহসান হাবিব নাসিম, কে এস ফিরোজ, গাজী রাকায়েত, ইলোরা গহর, আলিফ চৌধুরী, আফরান নিশো, উত্তম গুহ, তানিয়া হোসেন, সুবর্ণা আসাদ, সহন, ইয়াং মাহমুদ, আহমেদ গিয়াস, বরকত আলী রাজু, মাসুদুল ইসলাম শাওন, খলিলুর রহমান কাদরি প্রমুখ। গল্প : রায়হান খান মারা গেছে বছর সাতেক আগে। উঁচা-লম্বা গাম্ভীর্য মিলিয়ে বেশ একটা কাঠামোগত শক্ত সামর্থ্য শরীর এবং সাহসী পুরুষ হিসেবে বেশ খ্যাতি ছিলো তার। দুই মেয়ে এক ছেলের মা তিশার বয়স প্রায় বত্রিশ ছুঁই ছুঁই। ভালো স্বাস্থ্য, শ্যামবর্ণের, আকর্ষণীয়া তিশা এক অন্যরকম ব্যক্তিত্বের নারী। রায়হানের রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তি নিজ হাতে আগলে রেখেছে সে। মনিদীপা বাশারের স্ত্রী। অল্প বয়স, আধুনিক, স্মার্ট, মধ্যবিত্ত পরিবারের বামপন্থী চেতনার মেয়ে। মণিদীপা ঘৃণা করে বাশারকে কারণ, শুধু বয়সের পার্থক্য নয় পৃথিবীর সমস্ত ধনীদের প্রতিই তার অগাধ অভক্তি। একসময় আবিস্কার হয় আরমান ও মনিদীপার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। মণিদীপার ভালবাসার ছুরিতে ত বিত হতে থাকে আরমান প্রতি মুহুর্তে। কিন্তু আরমান ভালবাসে পাহাড়। একদিন সে পাহাড়ে চলে যাবে। পাহাড়ের নিশ্চল বিশালত্তে হারিয়ে যাবে পৃথিবীর সমস্ত সুখ, দু:খ, বেদনা।

বাংলাভিশন

রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : ম্যাডভাই ॥ মাসুম রেজার রচনা ও কাজী আমিরুল ইসলাম শোভার পরিচালনায় এবং মাছরাঙা প্রডাকশন্স লিমিটেড থেকে নির্মিত ॥  অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, শামীম জামান, আ খ ম হাসান, আলভী, হোমায়রা হিমু, শিরিন আলম, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাহরিয়ার শুভ, জয়ন্ত চট্রপাধ্যায়, কাজী রাজু, খান আলম প্রমুখ। গল্প : ম্যাডভাই নাটকের প্রধান ভূমিকায় থাকবেন ম্যাডভাই নামের এক বিচিত্র চরিত্রের মানুষ। তিনি হলেন জাহিদ হাসান। তার পোষাক-পরিচ্ছদ, বাসস্থান, চাল-চলন, কথা-বার্তা সব কিছুই একজন সাধারণ স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে ব্যতিক্রম। বাসা একটি পুকুরের মাঝখানে মাচার উপর। তার ঘরের উপর সাইনবোর্ড লেখা ‘ম্যাডভাই পুকুরপুর’। তার বিশেষ কিছু গুনের বা মতার জন্য গ্রামের লোকজন তাকে শ্রদ্ধা, সম্মান করে। তার পাগলামীর একটা বিশেষ দিক হলো সেই পাগলামী শেষমেস একটা অনভিপ্রেত পরিনতি ঘটায়। ম্যাডভাই কাউকে না বলেন না। তার কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই বুঝে নেওয়া যায় তিনি কোনটা পছন্দ করছেন আর কোনটা পছন্দ করছেন না। যেমন একবার এক সাংবাদিক আসে তার সাাৎকার নিতে। কিন্তু ম্যাডভাই সাংবাদিককে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারলেন না তাই তিনি প্রস্তাব দেন পুকুরপুরের গলা পানিতে নেমে তারপর সাাৎকার দেবেন তিনি। জামাকাপড় সহ গলা পানিতে নেমে সাাৎকার নিতে হবে শুনে সাংবাদিক চলে যান। গ্রামের শিতি লজিং টিচার দুলাল ঠিকমত বাংলা বর্ণমালার প বর্গ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত ঠিকমত বলতে না পারলে তাকে কানে ধরে উঠ বস করতে হয়। কেউ সালাম জানানোর উচ্চারনে ভুল করলে তার শুদ্ধ উচ্চরণও ধরিয়ে দেয়। সে যাকে যা বলে তা-ই তারা মেনে নেয়। এককথায় তার বুদ্ধিতেই সারা গ্রামটা পরিচালিত হয়। হাস্যকরই বটে বুদ্ধিমান মানুষেরা তাদের বুদ্ধিকে কাজে না লাগিয়ে একজন পাগলের বুদ্ধিতে চলে। এক বাউল নতুন গান বেঁধেছে। শোনায় ম্যাডভাইকে। গানটি তার হৃদয়কে স্পর্শ করে। মন ভার হয় তাই মনটা হালকা করার জন্য নিজেও পুকুরে নামে। বাউলকেও নামায় পোষাক পরেই। কারণ ম্যাডভাইয়ের কথা হচ্ছে মানুষের সামনে কাপড় পরলে পুকুরে থাকা মাছদের সামনেও কাপড় পরতে হবে। কেননা মাছেরও চোখ আছে।

রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : শুভ্র ॥  হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে এবং নওমী কামরুন বিধুর নাট্যরূপ ও মোশারফ খান বাদলের পরিচালনায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডলি জহুর, সালেক খান, এনামুল হক, মম, ইরেশ যাকের, অনি, লারা প্রমূখ ॥ গল্প : কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম শুভ্র। এই চরিত্রকে কেন্দ্র করেই গল্পের অন্যান্য চরিত্র এবং ঘটনাবলী আবর্তিত হয় । শুভ্র পড়া লেখায় অত্যন্ত মেধাবী। কিন্তু জাগতিক বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান তার একেবারেই নেই বললেই চলে। যেকোন সমস্যারই সে সমাধান করে তার পুর্বের আহরিত জ্ঞান দিয়ে। শুভ্রের বাবা মোতাহার সাহেব একজন ব্যবসায়ী এবং মা জাহানারা বেগম গৃহীনি । স্বামী , স্ত্রীর সম্পর্কের  একমাত্র সেতুবন্ধন হচ্ছে ছেলে শুভ্র । এই নরনারীর প্রেম , ভালবাসা, মায়া, রাগ, শাসণ একচ্ছত্রভাবে বর্ষিত হয়েছে শুভ্রের উপর । শুভ্র তার বাবা মায়ের ছত্রছায়ায় বড় হয়েছে অনেকটা পুতুলের মতন । ফলে তার দৃশ্যমান জগৎটা বলতে গেলে নিয়ন্ত্রন  করেছে তার মা । সেখানে শুভ্রর নিজস্ব কোন মতামত ব্যক্ত করার অধিকার বা সাহস কোনটাই ছিল না । কিন্তু এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে তার অরেকটা জগৎ আছে । চশমাটা খুলে ফেললেই সে সেই জগতের বাসিন্দা। শুভ্রের চোখের অবস্থা খুব খারাপ । ছশমা ছাড়া সে কিছুই দেখতে পারে না। সেই জগতের সে একাই বাসিন্দা । তার সেই অন্ধকার ভুবনকে নিয়ন্ত্রন করে তার জ্ঞান, যুক্তি , আবেগ, আর নির্মমতম এক সত্য- আর তা হল এই পৃথিবীর রং, রূপ, আলো, বর্ণ, বৈচিত্র সে আর দেখতে পারবে না  । সে খুব  দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবে । সেই অন্ধকার জগতের এক শুদ্ধতম মানুষ হচ্ছে শুভ্র।

রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : খোঁয়াড় ॥ রচনায় হাফিজ রেদু এবং পরিচালনায় বিক্রম খান। অভিনয়ে : আমিরুল হক চৌধুরী, আফরোজা বানু, চ্যালেঞ্জার, শিরিন আলম, চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, আ,খ,ম হাসান, নাজনীন চুমকী, বিনয় ভদ্রসহ আরো অনেকে। গল্প : নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে  বাকের আলকে নিয়ে। যার সাত পুরুষ ধরে গ্রামের খোঁয়াড়ের ইজারাদার। ধরন পেশাগত পদবীর মতই তার নামের শেষে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়েছে ‘খোয়াড়ী’ পদবী।   খোঁয়াড়-বন্দী নিত্য নতুন গাদা গাদা গরু ছাগলের চিৎকারে যেমন প্রতিবেশীদের ঘুম হারাম, তেমনি সেই আপদের ভয়ে আত্মীয় স্বজনরা এমনকি নিকট প্রতিবেশীরাও কোনোদিন মাড়ায় না বাকের খোঁয়াড়ীর বাড়ীর উঠান। নতুন করে আত্মীয়তার বন্ধন গড়তেও সাহস করে না কোন সজ্জন । বিপত্তি বাড়তে থাকে সেখানেই। বাকের খোঁয়াড়ীর তিন ছেলে নূরা খোঁয়াড়ী, নবা খোঁয়াড়ী ও নজু খোঁয়াড়ী বিয়ের যোগ্য হবার পরও কেউ কন্যা দানে রাজী হয় না, অনাচারী খোঁয়াড়ের কারণ। এজন্য স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন তাকে বারবার তাগাদা দেয় খোঁয়াড়ী পেশা ত্যাগ করার জন্য। কিন্তু বাকের খোঁয়াড়ীর এক কথা সে তার পূর্ব পূরুষের পেশা ছাড়তে নারাজ। তাতে বংশ রা না-হয় না হোক। এক সময় অধৈর্য হয়ে বাকেরের স্ত্রী নূরজাহান, ছেলেদের পছন্দের তিন মেয়ে বকুল, হেনা, বেলী আর নূরা, নবা, নজু একজোট হয়ে শুরু করে গোপন কৌশলে খোঁয়াড় উচ্ছেদের অভিযান। বাকের খোঁয়াড়ী ও তার স্বভাব চাতুর্যে খোঁয়াড় রার লড়াই চালিয়ে যায় প্রাণপণে। সবাই মিলে একের পর এক ঘটাতে থাকে উদ্ভট আর হাস্যকর নানান ঘটনা।

রাত ১০টা ৩০ মিনিট ॥ মেগা ধারাবাহিক নাটক : মেট্রো ॥ পান্থ শাহ্রিয়ারের রচনা ও ফাত্তাহ তানভীরের পরিচালনায় । ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ আসাদুজ্জামান নূর, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শহিদুজ্জামান সেলিম, সোলাইমান খোকা, শামস সুমন, বিজরী বরকতউল্লাহ, সাবেরী আলম, শতাব্দী ওয়াদুদ, চাঁদনী, মৌসুমী বিশ্বাস, শশী, শ্যামল, সমাপ্তি ও অন্যান্য ॥ গল্প : অন্ধকার থেকে আলো আবার আলো থেকে মধ্যরাতের অন্ধকারে ডুবে যায় আমাদেরই অতি পরিচিত মেট্রো সিটি ঢাকা। এ শহরের প্রতিটি রাস্তা অলি গলি দালান কিংবা উদ্যান আমাদের চির চেনা। মনে হয় যেন রোজ সকালে দেখা হয় এই শহরের সাথে - শহরে ব্যস্ত ছুটে চলা মানুষ গুলোর সাথে। মনে হয় যেন মুখে মুখ লাগিয়ে দেখতে পাবো সবাই আমরা কেমন একই রকম মুখোশ আটা। তারপরও তো সবাই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। একবার যদি এদের মুখোশের ফাঁক গলিয়ে দেখা যায় তবে আমরা দেখতে পাই কি বিচিত্র সব জীবন। হাসি আনন্দের মধ্যে রঙীন কাপড়ের পাট করা ভাঁজের মধ্যে কেমন সূ ভাবে লুকিয়ে থাকে বেদনা আর জীর্ণতার ছোপ ছোপ দাগ। সবাই যখন একই ছাদের নীচে অবস্থান করে তখনও জানা হয়না একজন আরেক জনকে সম্পূর্ণরূপে অথবা কে কার পরিপূরক। রং বদলায় ভিন্নতার সাথে তাল মিলিয়ে। কারো সংসার হয় কারো বা হয়ে থাকা সংসার এর মাঝখানে ছিড়ে যাওয়া দাগটা ঢেকে রাখতে চায়। কিন্তু এরা সবাই ছুটছে এক অদৃশ্য মেট্রোপলিটন কালচারের দিকে।

একুশে টিভি

বিকাল ০৫টা ৫০ মিনিট ॥ বিশেষ অনুষ্ঠান : ঝটপট ইফতার ॥ কাজী জাহিদের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন ফারজানা জাবিন পুনম।   অনুষ্ঠানটিতে ইফতারের বিভিন্ন খাবার কিভাবে সহজে তৈরি কলা যায় তা দেখানো হবে এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি পুরো রমজান মাসেই একুশে টিভিতে প্রচার হচ্ছে।

০৯ টা ৩০ মিনিট ॥ একুশে টেলিভিশনে আজ সোমবার রাত প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ললিতা। আব্দুস সালামের মূল গল্প অবলম্বনে এই ধারাবাহিক নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন জুয়েল মাহমুদ। একুশে টেলিভিশনের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত ললিতা ধারাবাহিক নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন  সুমাইয়া শিমু,জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, শিরিন আলম, আনিসুর রহমান মিলন, বন্যা মির্জা, ইলোরা গহর,প্রাণরায়, আঁকা,মৌনতা, নাসিমা খান, কাজী আনিস,মিশা সওদাগর,জয়রায,মুন্নি, ম.আ.সালাম,হিমেল,প্রত্যাশা,বিনয় ভদ্র,জামাল উদ্দিন, আশা মনি সহ অনেকে।

 বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০ ১০, আগস্ট ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।