নির্যাতন, অসাম্য ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাঙালির দীর্ঘ প্রতিবাদী ইতিহাসের শুরু থেকেই গণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের জাতীয় জীবনের সব আন্দোলন-সংগ্রামেদেশাত্মবোধক গান সব অপশক্তির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করেছে।
সে কথা বিবেচনায় রেখে জাগরণ সংস্কৃতিচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে আয়োজন করে ‘জাগরণের গান-২’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। দেশের প্রতি ও দেশাত্মবোধক গানের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান জানাতে এ অনুষ্ঠানের ছিল মানুষের ঢল।
সকালে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। উদ্যানজুড়ে ছড়িয়ে ছিলেন দর্শক। যে যার মতো করে অনুষ্ঠান দেখছিলেন। মঞ্চে একের পর এক চলছিল দলীয় গান, আবৃত্তি এবং নাচ। উদ্যানজুড়ে ঘুরে বেড়ানো আর মজার মজার খাবারের ফাঁকে সবার মনোযোগ ছিল মঞ্চের দিকে। সবার পোশাকেও ছিল অনেকটা উৎসবের আমেজ।
গত বছর প্রথমবারের মতো ৭১টি গণসঙ্গীত নিয়ে ‘জাগরণের গান’ নামের অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়। সেটি দেশের সঙ্গীতানুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। গণসঙ্গীতের প্রতি মানুষের এই বিপুল আগ্রহের কারণে দ্বিতীয় অ্যালবামটি প্রকাশ করা হলো। উৎসবে তিনটি বুথে বিক্রি হচ্ছিল ‘জাগরণের গান-২’ এর অ্যালবাম। অ্যালবামটি ছয়টি ডিস্কে বিভক্ত করে ১০১টি গান যুক্ত করা হয়েছে। মূল্য ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।
বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অনুষ্ঠানটি চলে রাত নয়টা পর্যন্ত।
জাগরণের গানের পৃষ্ঠপোষক বাংলালিংকের সিইও আহমেদ আবু দোমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলালিংক নিজেদের বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হাজার বছরের পুরানো ঐতিহ্য ও বাঙালির আপসহীন সংগ্রামী মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছে। ‘জাগরণের গান’ অ্যালবাম এরই একটি অংশ। দ্বিতীয়বারের মতো এই উদ্যোগে অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০, ডিসেম্বর ১০, ২০১০