বলিউডের বাঙালি নায়িকা রানী মুখার্জি। বাংলাদেশেও তিনি বেশ জনপ্রিয়।
প্রবল নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে রানী মুখার্জি বা অন্য কারো সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার উপায় ছিল না। রিহার্সালের একপর্যায়ে একটি প্রশ্নের উত্তরই তিনি দিয়েছেন। বাংলানিউজ তার কাছে জানতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের ছবিতে আপনাকে দেখা যাবে কবে? রানী তার ভুবন ভোলানো হাসি হেসে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে। এ বিষয়ে দু-একবার আমার সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। কিন্তু সময় করে উঠতে পারিনি। বাংলাদেশ তো আমার মাসিবাড়ি, কারণ জন্মের পর প্রথম বাংলা ভাষায় কথা বলতে শিখি। কাজেই মাসি বাড়ির নিমন্ত্রণ করলে আসব না, তা তো হয় না।
অনুষ্ঠানে রানী মুখার্জির জমকালো পরিবেশনায় মুগ্ধ হন দর্শক। পেছনের অংশের ছোট্ট একটি দরোজা দিয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে নায়িকা রানী মুখার্জি মঞ্চে প্রবেশ করেন। ‘দিল বলে হারিপ্পা’, ‘হাম তুম’, ‘গোরে গোরে ছে ছোড়ে’ ও ‘শাবা শাবা’ গানের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। এরপরই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বাংলা ভাষায় বলেন, ‘আমি আপনাদের রানী। আপনাদের আনন্দ দিতে বাংলাদেশে এসেছি। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। আমি জানতে চাই, এখানে এসে আমরা যে পারফর্ম করছি, তা আপনাদের ভালো লাগছে তো? আমার নাচ আপনাদের কেমন লাগলো ? আমি কি বাড়ি ফিরে মাকে বলতে পারব সবাইকে খুশি করে আসতে পেরেছি?’ বাঙালি নায়িকা রানীর বক্তব্যকে সমস্বরে চিৎকার করে স্বাগত জানান দর্শক।
শাহরুখ খানের সঙ্গে রানী মুখার্জির পরিবেশনায় নৃত্য ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। তারা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘তওবা তুমহারে ইয়ে ইশারে’, ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’, ‘মিথুয়া ক্যারাইয়ে ধারকান’ গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩০, ডিসেম্বর ১১, ২০১০