বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে এখন দুঃসময়। প্রায় মুখ থুবড়ে পড়তে বসেছে শিল্পের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ মাধ্যমটি।
চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংকট নিয়ে ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর ঢাকা কাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় ভারতীয় সিনেমা চ্যানেলগুলো বন্ধের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। আমরা ঘরে বসেই সেন্সরবিহীন ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি ছবি দেখছি। ঘরে বসেই যদি সব দেখা যায়, তবে সিনেমা হলে দর্শক কেন আসবে। বাংলাদেশে ভারতীয় বহু চ্যানেল নির্বিঘেœ সম্প্রচার হলেও শত অনুরোধ সত্ত্বেও সে দেশে আমাদের কোনো চ্যানেল প্রদর্শিত হয় না। আকাশ-সংস্কৃতির মাধ্যমে ব্যাপক বিদেশি সিনেমা প্রদর্শিত হলেও এ থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না। অথচ আমরা সরকারকে রাজস্ব দিয়েও সিনেমা হল রা করতে পারছি না। গত বছরও ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে কয়েকটি প্রোগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে। চলচ্চিত্রশিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই প্রোগৃহ রায় সব মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সিনেমা ব্যবসার অন্তরায় হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কেএমআর মঞ্জুর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক চ্যানেল সপ্তাহের সাত দিনই বাংলাদেশের ছবি প্রচার করছে। চ্যানেলগুলো গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫০-৬০টি সিনেমা দেখাচ্ছে। শুক্রবার নতুন ছবি মুক্তির দিন। অথচ সেদিনই চ্যানেলগুলো বাংলা ছবি দেখানো শুরু করে। দিনের বেলাতেই হয় এ প্রদর্শনী।
যদি রাত ১০টার পরও এ প্রদর্শনী হতো, তাহলেও প্রোগৃহে এর প্রভাব এত তীব্র হতো না।
নতুন ছবির সংকট সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, নতুন ছবির তীব্র সংকটের কারণে বাংলা সিনেমার দর্শক আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাচ্ছে। পুরনো ছবি চলে না। আবার নতুন ছবির কাহিনীর বৈচিত্র্যহীনতার কারণে দর্শক হলে আসতে চায় না। আর সিনেমা হলে দর্শক না এলে এর পরিবেশেরও উন্নতি হবে না। দর্শক হলমুখী হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রোগৃহের পরিবেশেরও উন্নতি ঘটবে।
বাংলাদেশ সময় ২২২০, জানুয়ারি ২৯, ২০১১